বন্দিদের সংশোধন ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বন্দিদের তাঁতশিল্প (শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, কয়েদি কাপড়), হস্তশিল্প (ঝাড়ু, নকশিকাঁথা, কারুকাজ) কাঠের আসবাব তৈরির কাজ, টেইলারিং, আয়রন, ইলেকট্রিক কাজের প্রশিক্ষণ ও পণ্য উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত পণ্যের বিক্রিত লভ্যাংশের অর্ধেক বন্দিদের দেয়া হয়;
নিরক্ষর বন্দিদের স্বাক্ষরতা ও নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চালু রয়েছে;
বন্দিদের বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক আয়োজন, খেলাধুলার (ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ক্যারাম, লুডু) ব্যবস্থ গ্রহণ;
বন্দিদের ধর্মীয় শিক্ষা, ইবাদত ও সালাত আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্মাণ;
বন্দিদের জন্য বালিশ সরবরাহকরণ এবং উৎসবে দরিদ্র বন্দিদের বিনামূল্যে কাপড় প্রদান;
করোনাকালীন বন্দি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে কারা ফটকে থার্মাল স্ক্যানার, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ব্যবহার, ক্লোরিন পানি/ স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করণ এবং বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ;
করোনাকালীন বন্দিসেবার নতুন সংযোজন হিসেবে নগদ/ বিকাশ সেবার মাধ্যমে বন্দিদের পিসিতে টাকা গ্রহণ;
কারা কর্মচারী ও দর্শনার্থীদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস রুম চালু করণ;
কারাগারে যে কোন ধরনের সেবাপ্রার্থী জনগণের জন্য সেবা সহজীকরণের লক্ষে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুকরণ;
শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী লোকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় সাক্ষাত ও কথা বলার সুবিধা প্রদান;
সিটিজেন চার্টার ও সেবাপ্রার্থী জনগণকে প্রদত্ত সেবা ও অভিযোগ প্রদানের সুবিধার্থে নোটিশ বোর্ড ও অভিযোগ বাক্স স্থাপন;
কারা কর্মচারী ও বন্দির সাক্ষাতপ্রার্থী শিশু স্বজনদের বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক ও খেলার স্থান নির্মাণ;
দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার, মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান ও মহিলাদের নামাজের জন্য ব্যবস্থা করণ;
আরপি গেইট ও কারা ক্যান্টিনে কারাগারের নামফলক স্থাপন ও সুসজ্জিতকরণ;
মসজিদে নতুন টয়লেট ও গোসলখানা নির্মাণ, গাড়ির গ্যারেজ, স্টাফদের গোসলের জন্য হাউস ও শেড নির্মাণ;
কারা কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা লাঘবে ৪টি নতুন বাসা নির্মাণ, পুরাতন বাসাগুলোকে মেরামত করণ;
৪ টি পাওয়ারলুম মেশিনে কাপড়, গামছা, লুঙ্গি উৎপাদন; পূর্বের ২টির সাথে আরও একটি নতুন অত্যাধুনিক সেলাই মেশিন সংযোজন;
কারা লাইব্রেরিতে ‘মুজিব কর্নার স্থাপন ও নতুন ৪০০ টি বই সংযোজন;
বিনোদন ও শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য নিয়মিতভাবে বন্দি ও স্টাফদের মধ্যে ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি খেলা আয়োজন;
কারা কর্মচারীদের ও পোষ্যদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন;
নিয়মিতভাবে কারা এলাকা পরি”ছন্ন রাখা ও মশা নির্মুলে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ;
বন্দিদের বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি পানের জন্য ফিল্টার ওয়াটার ফ্রিজিং মেশিন স্থাপন;
কারাভ্যন্তরে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফোয়ারা ও পুল নির্মাণ করে সৌখিন মাছের চাষ।
কারাবন্দিদের শিক্ষামূলক প্রশিক্ষণ
ধর্মীয় শিক্ষা: কারাগারে অবরত বন্দিদের যারা ধর্মীয় মূল্যবোধ ও শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী তাদের কারা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়া হয়। এছাড়া ১ মাস মেয়াদি কোরআন শিক্ষা প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে কারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাদের সনদপত্রও প্রদান করা হয়।
গণশিক্ষা: কারাবন্দিদের মধ্যে যাদের অক্ষরজ্ঞান নেই বা যারা শিক্ষার সংস্পর্শেই আসেনি তাদের সাক্ষরতা এবং নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিতভাবে কারাগারে চালু রয়েছে এবং বন্দিরা উৎসাহসহ এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
দর্জি প্রশিক্ষণ: কারা বন্দিদের মধ্যে যারা দর্জি কাজ শেখার আগ্রহী তাদের নিয়ে দর্জি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
কারা শিল্প ও উৎপাদনমুখী প্রশিক্ষণ
পাওয়ারলুম: কারাগারের উৎপাদন বিভাগে বর্তমানে ৪ টি পাওয়ার লুম মেশিনে কয়েদি কাপড়, গামছা, লুঙ্গি উৎপাদন ও বন্দিদের প্রশিক্ষণ চলছে এবং শীঘ্রই টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়ি উৎপাদনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। উৎপাদিত পণ্যের বিক্রিত লভ্যাংশ থেকে বন্দিদের যথানিয়মে পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়।
হস্তশিল্প: পাওয়ারলুমে কাজ করা ছাড়াও ক্ষেত্রভেদে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কাজ জানা বন্দিদের দ্বারা মনোহরী পণ্য উৎপাদন করা হয়। তাছাড়া মহিলা বন্দিরা কাঁথা ও অন্যান্য মনোহরী পণ্য উৎপাদন করেন।
দর্জিদফা: দর্জিদফায় যেকোন বন্দিদের দর্জি কাজের প্রশিক্ষণ এবং ক্লিনিং ও আয়রণ কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সাম্প্রতিক করোনা মহামারীতে কারাগারে দর্জিদফায় কর্মরত বন্দিরা দশ সহস্রাধিক মাস্ক উৎপাদন করে এবং কারারক্ষীদের ফ্রি ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুলভমূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
কাঠের আসবাব শিল্প: মাঝে মধ্যে দক্ষ কারাবন্দি পাওয়া গেলে এ শিল্পে বন্দি প্রশিক্ষণ ও উৎপাদন করা হয়। এখানে চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাব তৈরি করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস